লাভজনক কিছু ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া | Domestic Business

কেউ বসে নেই। সবাই কোন না কোনভাবে ইনকাম করছে। ঘরে বসে বিজনেস করা যায় এমন চিন্তা একসময় আমাদের মাথায় আসেনি। কিন্তু এখন অনেকেই ঘরোয়া ব্যবসা করে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। অথচ যেটা মানুষের ভাবনায় ছিলো না ঘরে বসে ব্যবসা কিভাবে করে তা নিয়ে। তার মানে এখন মানুষ তাদের চিন্তার বাহিরে গিয়ে কাজ করে সফল হচ্ছে। মনে রাখবেন, ব্যবসা হচ্ছে সম্মানের পেশা। ব্যবসা যত ছোট বা বড় হোক তা কখনও লজ্জাজনক কাজ নয়।

লাভজনক কিছু ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া
লাভজনক কিছু ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া

যারা কোন কাজকে ছোট বা বড় করে দেখেন। তারা কখনও সফল হতে পারে না। তাই উদ্যোক্তা হতে চাইলে কখনও এমনটা করা যাবে না।

জেনে নেওয়া যাক কিছু ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে:

আমরা আজকে যে ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সবগুলো বিজনেস উদ্যোক্তাদের প্রিয়।

ড্রপ শিপিং বিজনেস:

৫-১০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে এই বিজনেসে কোটি কোটি টাকার পণ্য ও সেবা নিয়ে ব্যবসা করা যায়। তাই এটি সত্যিই অসাধারণ একটা ব্যবসা।

ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করতে ২টি মৌলিক বিষয়ের প্রয়োজন আছে:

  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট
  • ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট পদ্ধতি।

এগুলোই হচ্ছে এই বিজনেসের জন্য বিনিয়োগ। একজন নতুন উদ্যোক্তা হলেও এই ব্যবসা সুন্দরভাবে পরিচালনা করে সফল হতে পারেন। নতুনদের ক্ষেত্রে একজন ট্রেইনার এক থেকে তিন মাস সাপোর্ট দিলে এই ব্যবসায় ভালো লাভবান হওয়া যাবে। অনেকগুলো সুনামধন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা করতে এই সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি বাংলাদেশে বসে সারাবিশ্ব জুড়েই এই বিজনেস করতে পারেন।

ড্রপ শিপিং বিজনেসে ভালো বেশি মুনাফা আয় করতে চাইলে ভালো কোম্পানির সাথে ব্যবসা শুরু করতে হবে। যার মধ্যে আমাজন এবং শপিফাই হচ্ছে বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান। প্রতিমাসে ৫০,০০০ থেকে লাখ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব এই বিজনেস করে।

রিসেলার বিজনেস আইডিয়া:

ঘরোয়া ব্যবসা গুলোর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের একটা ব্যবসা হচ্ছে রিসেলার। কোনো মূলধন ছাড়াই আপনি ঘরে বসে রিসেলার বিজনেস করতে পারেন। তবে এই ব্যবসায় দ্রুত সফলতা ও গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার কাছে ওয়েবসাইটের জন্য বিনিয়োগ করার টাকা না থাকে, তাহলে বিনা বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করুন।

ড্রপ শিপিংয়ের মতো এই ব্যবসায় আপনি লাখ লাখ পণ্য ও সেবা নিয়ে বিজনেস করতে পারেন। যার জন্য আপনাকে কোনো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। বাংলাদেশ থেকে রিসেলার বিজনেস শুরু করতে “শপআপ” হচ্ছে সেরা একটা প্লাটফর্ম। এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শপআপের সাথে বাংলাদেশ ব্রাক ব্যাংক এবং ফেসবুক সহ জনপ্রিয় আরও কয়েকটি কোম্পানি পার্টনার হিসেবে আছে। রিসেলার বিজনেস করে মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা ঘরে বসে আয় করা সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস আইডিয়া:

আপনি হয়তো এই নামটা অনেকবার শুনেছেন৷ তবে জানিনা এর কাজ কি তা জানেন কি-না। যদি জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট। এটি খুবই লাভজনক একটা ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া। এটাতে আপনি চাইলেও কোনভাবে লস করতে পারবেন না। মানে এটাতে আপনাদের শতভাগ নিশ্চিত প্রফিট হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি এখানে আরও অনেকগুলো উপায়ে ইনকাম করা যায়। যেমনঃ গুগল বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল পণ্য বিক্রি ইত্যাদি।

৪ থেকে ৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে একটা সফল অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট দাঁড় করানো যায়। এবং একটা অ্যাফিলিয়েট সাইটে দিনে ২ হাজার ভিজিটর আসলে মাসে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিশ্চিত আয় করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস :

আমরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও খবরের কাগজে এদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখি। কিন্তু কখনও ফ্রিল্যান্সিং কি তা জানার চেষ্টা করেছিলেন? ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অসাধারণ একটা ব্যবসা। এখানে পণ্য বা সেবা সবকিছু আপনার কাছে থাকবে।

বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে বায়ার আপনাকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ করিয়ে নিবে। এখানে মূলত আপনি আপনার দক্ষতা বিক্রি করে টাকা কামাই করবেন। যত ভালো সার্ভিস দিতে পারবেন, তত বেশি আপনার আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবসা শুরু করতে কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে এই পেশায় আপনাকে প্রথম দিকে ধর্য্য ধরে কাজ করতে হবে।

আপনি যদি প্রথম কয়েকজন বায়ারকে সেবা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে আপনি মার্কেটি ধরে ফেলছেন। এরপর থেকে আপনার কাজের অর্ডার আসতেই থাকবে। প্রতিমাসে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। এমন ফ্রিল্যান্সারদের উদাহরণ হাজার হাজার পাবেন। আপনি অনলাইনে গিয়ে সফল ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা লিখে সার্চ করলে প্রমাণ পাবেন।

ক্যাটারিং ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া –

একসময় বাংলাদেশ ক্যাটারিং ব্যবসা কেউ না চিনতে না পারলেও বর্তমান সময়ে এটি পুরো জনপ্রিয় একটা লাভবান ব্যবসা। ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করার জন্য শহর এলাকা হচ্ছে উপযুক্ত। শহর এলাকায় এমন অনেকে বাস করেন। যারা ঘরোয়া খাবার খাওয়ার জন্য ডাবল টাকা বিনিয়োগ করে থাকে। এ ব্যবসায় কোনরকম লোকসান নাই বললেই চলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও ক্যাটারিং সার্ভিস ব্যবহার করে থাকি। ক্যাটারিং সার্ভিসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যেমন খেতে পারেন। পাশাপাশি আপনাকে কোনরকম রান্নাবান্নার ঝামেলা করতে হবেনা। 

ক্যাটারিং সার্ভিস কাকে বলে?

শহর অঞ্চলের বিভিন্ন কাজে কর্মে পড়াশোনার কাজে অনেক ব্যাচেলররা বসবাস করে। বিশেষ করে অনেকগুলো শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার জন্য শহরাঞ্চলে বসবাস করে। এই সকল শিক্ষার্থী ও ব্যাচেলরদের জন্য নিয়মিত খাবার রান্না করে খাবার সার্ব করা কে ক্যাটারিং সার্ভিস বলে। 

প্রতিবেলা খাবারের জন্য আপনি ৪০ থেকে ৬০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার গ্রাহক যত বেশি হবে। ততোই ভালো পরিমাণে আপনি প্রফিট করতে পারবেন। গ্রাহক পাওয়ার জন্য আপনার আশপাশের ব্যাচেলরদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদেরকে বুঝাবেন আপনি প্রতিদিন তাদের জন্য দুবেলা খাবার রান্না করে সার্ব করবেন। এতে করে তার ঘরোয়া রান্না খেতে পারবে। পাশাপাশি তাদের পড়াশোনা করার জন্য যথেষ্ট  সময় বাঁচবে।

হ্যান্ডি ক্র্যাফট ব্যবসার আইডিয়া:

হাতের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র মানুষ খুব বেশি পছন্দ করেন। প্রাচীন থেকে মানুষ হাতের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে প্রাচীনের অনেককিছু বিলুপ্তি হয়েছে এবং অনেককিছু বিলুপ্তির পথে। আপনি যদি হাতে বিভিন্ন রকমের ক্রাফট তৈরি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য। এমন অনেকগুলো পণ্য রয়েছে যা মানুষ ঐতিহ্য ধরে রাখতে ক্রয় করে।

ক্রাফট পণ্যের ৭০ ভাগ পণ্য তৈরি করতে খরচ হবে ৮ টাকা বিক্রি করতে পারবেন ৮০ টাকায়। উদাহরণস্বরূপ বললাম আরকি। তবে এটাই বাস্তব এই বিজনেস করতে তেমন কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আশেপাশে অনেকগুলো পরিত্যক্ত জিনিস ব্যবহার করে আপনি হ্যান্ডি ক্রাফট পণ্য তৈরি করতে পারবেন।

হ্যান্ডি ক্রাফট কি?

হ্যান্ডিক্রাফট হচ্ছে হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র। যেমন: ফুলদানি, কাঁচা তরকারি রাখার জালি, ঘর পরিষ্কার করার বিভিন্ন যন্ত্র, ইত্যাদি। এগুলো সব পরিত্যক্ত জিনিস এর মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব। এজন্য আপনি যদি হ্যান্ডিক্রাফট বিজনেস শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে কোন বিনিয়োগ করতে হবে না। অনেক সময় দেখবেন আপনারা আত্মীয়-স্বজনরা অনেক কিছু ব্যবহার না করে ফেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি আপনার পরিবারের অনেক কিছু এমন আছে। যা ব্যবহার যোগ্য নয়। আপনাকে এরকম পরিত্যক্ত আসবাবপত্রগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এবং এগুলোকে রিসাইকেলিং করে নতুন করে ব্যবহারের যোগ্য করে দিতে হবে।

 হ্যান্ডিক্রাফট তৈরি করা কিভাবে শিখবেন? 

আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ করেন, তাহলে অনেকগুলো এরকম ভিডিও পেয়ে যাবেন। যেখানে হাজার হাজার হ্যান্ডিক্রাফট আইডিয়া হয়েছে। আপনি একাধিক চ্যানেলের একটি লিস্ট তৈরি করতে পারেন। যে চ্যানেলগুলোর আইডিয়াগুলো আপনি বাস্তবায়ন করবেন। দেখবেন এখানে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত জিনিস ব্যবহার করে ক্রিয়েটিভ অনেক কিছু তৈরি করা শেখাচ্ছে। এগুলোর ভিডিও দেখে আপনি নিজের প্র্যাকটিস করবেন। পাশাপাশি এগুলো তৈরীর জন্য চেষ্টা করবে। কয়েকবার চেষ্টা করলে দেখবেন আপনি ভালো মানের হ্যান্ডিক্রাফট পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

পাশাপাশি আপনি যদি নিজেই এই বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। এগুলোর মাধ্যমে ইউটিউব থেকেও  ভালো পরিমাণে বিজ্ঞাপন প্রচার করে ইনকাম করা সম্ভব। ব্যবসা করার জন্য আপনি চাইলে আঁকার পাশে পাশের  পরিচিত আরো কয়েকজনকে নিয়ে একটা টিম হয়ে পড়তে পারেন।  তাহলে এধরনের পণ্য তৈরি করে আপনারা বড় বড় কোম্পানির কাছে রপ্তানি করতে পারবেন।

ঘরোয়া খাবার তৈরির ব্যবসা –

বর্তমান সময়ে ঘরোয়া খাবারের চাহিদা গুগোল বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি শহর অঞ্চলে এ ধরনের খাবার বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারেন। এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন, তাহলে এখান থেকে খুব ভালো পরিমাণে প্রফিট আদায় করা সম্ভব। ঘরোয়া খাবার তৈরি করে বিজনেস শুরু করার জন্য আপনাকে কোন রকম জটিলতা ভোগ করতে হবে না।

এই বিজনেস শুরু করার প্রধান চ্যালেঞ্জ করছে উন্নত মানের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করার নিশ্চয়তা। সবাই ঘরোয়া খাবারের সন্ধান করেন। মূলত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করার জন্য। আপনি যদি একবার এটা নিশ্চিত করতে পারেন যে, আপনি  যে সকল খাবার তৈরি করতেছেন। এসব খাবার শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত। তাহলে আপনাকে আর কোন দিকে তাকাতে হবে না।

কিভাবে এধরনের খাবার তৈরি করে বিক্রি করবেন?

বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো আপনারা  তৈরি করা ঘরোয়া খাবার সংগ্রহ করে তাদের প্লাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে। এক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার প্রফিটের অংশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি অংশ কেটে রাখবেন। অর্থাৎ আপনি খাবার তৈরি করে ইনকাম করবেন আর তারা আবার বিক্রি করে দিয়ে ইনকাম করবেন।

খাবার বিক্রি করার কিছু অ্যাপ:

পাঠাও ফুড, ফুড ফান্ডা, সহজ ফুড, ই-ফুড ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আপনার তৈরি করা খাবার বিক্রি করার জন্য বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। এদের মাধ্যমে খাবার বিক্রি করার জন্য আপনাকে এদের মার্চেন্ট হিসেবে মোবাইল অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে। এবং আপনার তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনি কি কি ধরনের খাবার বিক্রি করবে তা লিষ্টিং করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খাবার সেল হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি খাবার প্রস্তুত করতে হবে। যেন সকল ক্রেতাদেরকে বিক্রয় করা সম্ভব হয়। এখান থেকে আপনার প্রতিটি বিক্রির উপর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হিসেবে এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো কেটে রাখবে। অর্থাৎ যে অংশটি তারা আপনার কাছ থেকে চার্জ হিসেবে কেটে নিবে। সেটি হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রফিটের অংশ। চিন্তার কোন কারন নাই। ২০ থেকে ৩০ পার্সেন্ট কমিশন কেটে রাখার পরেও আপনার বিপুল পরিমাণে প্রফিট থাকবে। কারন এধরনের  ঘরোয়া খাবার গুলোতে ভালো পরিমাণে  লাভবান হওয়া যায়। 

অনলাইনে কোর্স সেলিং ঘরোয়া ব্যবসা –

ঘরোয়া ব্যবসা হিসেবে অনলাইনে কোর্স সেল করা একদমই খারাপ কোন আইডিয়া না। হ্যান্ডিক্রাফট, রান্নাবান্না, ডিজাইন, ইত্যাদি। আপনার চেয়ে ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আপনি অনলাইনে সেল করার জন্য কোর্স তৈরি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন কোর্সগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেকোনো বিষয়ের উপর আপনি কোর্স তৈরী করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন।

আপনার তৈরি করা কোর্সের ভাষাটি যদি ইংরেজিতে হয়, তাহলে বেশি পরিমাণ বিক্রয় করা সম্ভব। তবে বাংলা ভাষায় হলেও আপনি আপনার কোর্সগুলো বিক্রয় করার জন্য অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম পাবেন। যারা বাংলা ভাষায় তৈরি করা কোর্সগুলো সংগ্রহ করে বিক্রয় করে।

অনলাইন কোর্স সেল করার জন্য কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট: 

এগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে আপনি আপনার  তৈরি করার কোর্স বিক্রয় করে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আমি যে চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছি। এপ্রতিষ্ঠানগুলো খুব জনপ্রিয় এবং মানুষের কাছে বহুল পরিচিত।

ফ্যাশন ডিজাইনিং –

অনেকগুলো বড় গার্মেন্টস ও ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলোর আপনার তৈরি করা ডিজাইন ক্রয় করে থাকেন। আপনি যদি ভাল মানের ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কাজ জানেন। তাহলে ঘরে বসে আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন । 

পাশাপাশি আপনার যদি ডিজাইনিং স্কিল খুব বেশি ভালো থাকে,তাহলে আপনি অনলাইনে এধরনের একটি বিজনেস শুরু করতে পারেন। যেখানে আপনার একাধিক ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ডেমো থাকবে। এখান থেকে আপনার কোনো ডিজাইন যদি কেউ ক্রয় করতে চায়, তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি ফি পেমেন্ট করেই উক্ত ডিজাইন সংগ্রহ করতে হবে।

পার্টি কেক তৈরির ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া –

বর্তমানে যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য মানুষ কেক এর অর্ডার করে থাকে। সেটা রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হোক অথবা কারো জন্মদিন। যেকোনো ধরনের ছোট-বড় অনুষ্ঠানেই পার্টি কেকের  অর্ডার হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। এবং এর জন্য আপনাকে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে না।

পার্টি কেকগুলো তৈরি করা খুবই সহজ। তবে কেক তৈরীর পরেই এর উপরে যে ডিজাইনটা করা হয়। সেই ডিজাইনটা দেওয়ার জন্য আপনাকে কিছুদিন প্র্যাকটিস করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য ইউটিউব হচ্ছে খুব ভালো একটি প্রতিষ্ঠান। ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি একাধিক কেক তৈরির আইডিয়া সংগ্রহ করতে পারবেন। ইউটিউবে আপনি বিশ্বমানের অনেকগুলো কেক তৈরি ডিজাইন দেখবেন যেগুলো সত্যিই অসাধারণ! 

কিভাবে ঘরোয়া ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রশিক্ষণ নেবেন?

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত যতগুলো ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। এই ব্যবসাগুলো শুরু করার জন্য আপনার যদি কোন রকম অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এবিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সরকারিভাবে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। 

যেখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি তে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে আবার প্রশিক্ষণ শেষে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি টাকা প্রদান করে। যেন আপনি প্রশিক্ষণ শেষে আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।

প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য কিছু জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান: 

  • যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
  • মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
  • ব্রাক
  • বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন 

এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আপনি বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে পারবেন। এবং সরকারিভাবে একটি সার্টিফিকেট আপনাকে দেওয়া হবে। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি কাকা আপনাকে প্রদান করা হতে পারে। যেন টাকাগুলো দিয়ে হাতে নিজের কাজ শুরু করতে পারেন। 

কিভাবে শুরু করবেন ঘরোয়া ব্যবসা সমূহ?

আমাদের আজকের ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়াগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিলো। যেকেউ এই ব্যবসাগুলো ঘরে বসে শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেকেই জানি প্রিমিয়াম সাপোর্ট চাইবে। তাই আমরা আপনাদের সাহায্য করতে প্রিমিয়াম সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। কারণ অনেকেই নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইবেন। বা কিভাবে মার্কেটিং করে আয় করতে তা জানতে চাইবেন।।

এজন্য আপনাদের চাহিদা পূরণ ও সফলতায় ভূমিকা রাখতে। আমাকে মেসেজ করুন।

বিডিব্লগের সমাপ্তি বার্তা:

আমি নিয়মিত ক্যারিয়ার গাইড ও বিজনেস আইডিয়া নিয়ে প্রকাশ করে যাচ্ছি। এরকম আরও আইডিয়া পেতে চাইলে আমাদের কমেন্টে জানা এবং ফেসবুকে ফলো করুন। ধন্যবাদ।